সারা পৃথিবী কন্টেন্ট ইকোনোমির দিকে ঝুঁকছে। আদার ব্যাপারী থেকে জাহাজের ক্যাপ্টেন সকলেই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। সত্যি বলতে, এমন সব ডিপ ডাইভ কন্টেন্ট তৈরি হচ্ছে, যা মানুষের অন্তর্গত বোঝাপড়াটাই বদলে দেবে, চৈতন্যের দাঁড় দুলিয়ে দেবে। ফ্রিডম্যান, হুবারম্যানদের কাজ তাই বিস্মিত হয়ে দেখি। দেখি একজন অধ্যাপক স্ট্যান্ডফোর্ডের চাকরি ছেড়ে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে গেলেন! দেখি এই ক্রিয়েটরদের বিপণন কৌশল।
আর চোখ ঘুরিয়ে যখন বাঙালির দিকে তাকাই, তখন দেখতে পাই কন্টেন্ট মানে পরোটা, বিরিয়ানির মাংস অথবা একটু পরিশীলিত ডিলিরিয়াম, যা সঙ্গতভাবেই কোথাও পৌঁছে দেবে না। যা একবার দেখার পর আর দেখার বাসনা হবে না। যা দেখার/শোনার/ শেখার জন্য আরও একটা বিনিদ্র রাত কাটবে না। নোটখাতা সঙ্গে রাখার প্রয়োজন হবে না। অভাবটা প্রস্তুতির। গবেষণার। এক্সপোজারের। বিপণন কৌশলের। এই অভাব একদিনে পূরণ হবে না। চাই নিয়মিত ভাল, মাইন্ডফুল, ডিপডাইভ কন্টেন্ট তৈরি করবে, সফলভাবে তা বিপণন করবে এমন একদল মানুষ।
এই চিন্তা থেকেই টাইমস অফ থিয়েটারে আগামী ছ’মাস (২৪টি ক্লাস) কন্টেন্ট ক্রিয়েশন অ্যান্ড ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সটি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া। পডকাস্ট হোক বা ভিডিও অ্যানালিসিস, সব ধরনের কন্টেন্ট কী ভাবে ধাপে ধাপে গড়ে তুলব, কী ভাবে তা ডিস্ট্রিবিউট করব, এই কাজে এআই কতটা সাহায্য করবে শিখে যাত্রা শুরু করার জন্যে এই কোর্স ডিজাইন করা। এই কোর্স শেষে থাকবে ইন্টার্নশিপ এবং যোগ্যতমর কাজের সুযোগ।
সপ্তাহে একদিন ক্লাস। হেঁটে এসে (ফিজিকাল) বা নেটে এসে (ডিজিটাল), দু’ভাবেই কোর্সটি করা যাবে। করা যাবে বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে। ওরিয়েন্টেশন ২৯ ও ৩০ জুন। ক্লাস শুরু ৩ জুলাই থেকে। অন্য যাবতীয় তথ্যের জন্য ছবিতে দেওয়া ফোন/ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।

